বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

মাধবপুরে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া, দিশেহারা কৃষক !

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৭৩ বার পঠিত

আবুল হাসান ফায়েজ : করোনাভাইরাসের কারণের গত ২৬ মার্চ থেকে সব কিছু বন্ধ রয়েছে। দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। বন্ধ রয়েছে পরিবহনও। তবে পণ্য পরিবহনের কোন বাঁধা না থাকলেও প্রয়োজনীয় ক্রেতার অভাবে হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া।

স্থানীয় বাজারগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়া আর গত বৃহস্পতিবারের (২ এপ্রিল) দুপুরের শিলাবৃষ্টি উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে ঋণগ্রস্ত কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে এখনও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়নি বলে জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাব গেলে তাদেরকে হয়তো আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হতে পারে। এবার উপজেলায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ এবং ১ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

এদিকে উপজেলার শাহজাহানপুর, বহরা, চৌমুহনী, ধর্মঘর, আদাঐর, ছাতিয়াইন, নোয়াপাড়া, বাঘাসুরা, বুল্লা, জগদীশপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি আর সবশেষ শিলাবৃষ্টির কারণে তাদের লোকসানের মধ্যে পড়তে হবে। আর বর্তমানে যে পরিমাণ ফসল জমিতে আছে তাও বিক্রি করতে পারছেন না। কারণে এবার বাইরে থেকে কোন পাইকারই সবজি কিনতে বাজারে আসছেন না।

উপজেলার সবজি চাষি সাহাদত মিয়া বলেন, বেশিরভাগ মিষ্টিকুমড়া শিলাবৃষ্টির আঘাতে লেগেছে। ফলে এগুলো এখন পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে উৎপাদিত টমেটো, মিষ্টিকুমড়া ও বরবটি স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করছিলাম। লাভের আশা ছেড়ে দিয়ে পুঁজি ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবারের শিলাবৃষ্টিতে আমাদের পুঁজি ফেরত পাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কোন আর্থিক বরাদ্দ আসেনি। তবে করোনাভাইরাসের সংকট কালীন সময় পরে হয়তো আর্থিক প্রণোদনা আসতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com