নিজস্ব সংবাদদাতা॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার অদূরে বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে বরযাত্রী বাহী মাইক্রোবাস দূর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জন নিহত ও বরসহ ৪ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স’এ নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। বিকাল ৫টায় এয়ার-এ্যাম্বুলেন্সে আহতদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এস.এম.রাজু আহমেদ, অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পৌছে উদ্ধার তৎপরতা চালান। মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রাকিুল ইসলাম জানান-দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকার খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান থেকে বরযাত্রীদের তিনটি মাইক্রোবাস সিলেট উপশহরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা সদরের অদুরে বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় বরের মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৫-৯৮৩১) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুতগতির মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বর শিবলীর বন্ধু ঢাকার ক্ষিলগাও গোরান এলাকার মৃত ইমরুল সালেহীনের ছেলে ইমরোস সালেহীন রিজন (৩০), মৃত নুরুজাম্মানের ছেলে হাসানুজ্জামান শুভ (৩১) এহসানুল হক অপু (২৪), এহসানুল হক অপু স্ত্রী ঝুমা আক্তার (২৪) ও বরের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলামের ছেলে পরশ ইসলাম (২৩) মারা যান। এ ঘটনায় শিবলীসহ মাইক্রোবাসে থাকা প্রসন্ন কান্তি (৩২) ও মুনতাছির (৩০) নামে আরও দুইজন আহত হন। হতাহতরা সবাই দক্ষিণ গোড়ানের বাসিন্দা।
খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স’এ আনা হয়। আহতদের অবস্থা অবনতি হওয়ায় বিকাল ৫টায় ইয়ার-এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়। আহত শিবলী জানান, তিনি ল্যাবএইড গ্র“পের প্রধান রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের উপশহরের মৃত সৈয়দ সাইদুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা রোহমেনা সিদ্দিকার সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক সকালে তিনটি হাইয়েস মাইক্রোবাস নিয়ে তারা ঢাকা থেকে রওনা হন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে আটজন আরোহী ছিলেন। বিজয়নগরের বীরপাশা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের একটি বাঁক অতিক্রম করার সময় তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অতিরিক্ত গতি থাকার কারণেই বাঁকে এসে চালক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
খাটিহাতা (বিশ্বরোড) হাইওয়ে থানার (ওসি) মোঃ হোসেন সরকার জানান-যেহেতু কোন বাদী নাই তাই লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে
Leave a Reply