স্টাফ রিপোর্টার:- হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুরে শিশুকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে পাষন্ড পিতাকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে সদর থানার ওসি মাসুক আলীর মানবতার সেবায় ওই শিশুটি প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের সেকুল মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম রফিক (৩০) এর সাথে বিয়ে হয় নবীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের রত্না আক্তারের। এক পর্যায়ে তাদের কোলজুড়ে দুইটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। রফিক মাদকাসক্ত ও চোরপ্রকৃতির লোক। সে প্রায়ই মাদক সেবন করে স্ত্রী সন্তানের ওপর অত্যাচার চালাতো। স্ত্রী নির্যাতনের পরও সংসার করতো। গত শুক্রবার ওই সময় কামড়াপুর ভাড়াটিয়া বাসায় নেশার টাকার জন্য রফিক তার স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ৪ বছরের কন্যা সন্তান রাহিদাকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে ওই শিশুকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবরটি ওসির নিকট পৌঁছলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে রফিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে ওই শিশুর অবস্থা আশংকাজনক বিধায় তাকে আংশিক চিকিৎসা দিয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সিলেট প্রেরণ করেন। কিন্তু ওই শিশুর মা দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়ায় সম্ভব না এ আক্ষেপ নিয়ে হাসপাতালে বসে কাঁদতে থাকলে এ প্রতিনিধি তাকে সদর থানার ওসির কাছে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ওই শিশুর অবস্থা দেখে তিনিসহ অন্যান্য পুলিশ সদর হাসপাতালে এসে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে কথা বলে হাসপাতালে রাখেন এবং শনিবার ওসি মাসুক আলীর উদ্যোগে সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে শিশুটির অপারেশন করানো হয়। ডাক্তার জানান, সময় মতো অপারেশন করার কারণে শিশুটি অল্পতে রক্ষা পেয়েছে। সে বর্তমানে বিপদমুক্ত। শিশুর মা ও অন্যান্য স্বজনরা বলেন, সদর থানার ওসি মাসুক আলী মানবতার সেবায় এগিয়ে আসায় শিশুটি বেঁেচ গেলো। ওসি মাসুক আলী জানান, রফিক তার শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্য সে বেঁচে পেয়েছে। রফিক পুলিশ হেফাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply