ফিচার – Prothomsheba.com https://prothomsheba.com A Online Newspaper of Bangladesh Wed, 18 Nov 2020 04:45:40 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.0.3 রাজ্জাক মিয়ার সবুজ বিপ্লব https://prothomsheba.com/archives/13737 https://prothomsheba.com/archives/13737#respond Wed, 18 Nov 2020 04:45:40 +0000 http://prothomsheba.com/?p=13737 মাসুদ আলম,চুনারুঘাট ঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ সবুজ ফলজ বৃক্ষ প্রেমি রাজ্জাক মিয়া। তিনশত প্রজাতির বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ চারা দ্বারা বেষ্টিত ভাই ভাই নার্সারী। এটি চুনারুঘাট উপজেলার সর্ববৃহৎ নার্সারী বলে পরিচিত। উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের পরাঝার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হরিওরপুর গ্রামে অবস্হিত। পরাজার স্কুলের পাশে দাড়ালেই দেখা যায় নজরকারা এই প্রাকৃতিক সবুজ দৃশ্য। সে দিন এই প্রতিনিধির সাথে কথা হয় রাজ্জাক মিয়ার। পয়ত্রিশ বছর সরকারি চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পর নিজ হাতে গড়ে তুলেন এই নার্সারী। যে কোন ফলজ বৃক্ষ প্রেমী সেখানে গেলেই মুগ্ধ হন এমন সুন্দর দৃশ্য দেখলে। চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন সরকার এই নার্সারির ভূয়সী প্রশংসা করেন। আম, লিচু,কামরাঙ্গা, মাল্টা, কমলা,পেপে, আমলকি, পেয়ারা,জামরুল, জলপাই সহ প্রায় তিনশত প্রজাতির চারা রয়েছে এই নার্সারীতে। নাড়ীর আঙ্গিনা সাজাতে বিভিন্ন ফুলের চারা ও রয়েছে এখানে। যে কোন বৃক্ষ প্রেমী এই চারা বাগানে গেলে তাদের চাহিদা মতো চারা পেতে পারবেন এই নার্সারীতে। এই চারা বিক্রি করে ব্যাপক মুনাফা অর্জনের কথা ও জানান রাজ্জাক মিয়া।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/13737/feed 0
অসহায় ফারুক মিয়া ও ছুরত আলীর পাশে দাড়িয়েছে- এসো পাশে দাড়াঁই সংগঠন https://prothomsheba.com/archives/12889 https://prothomsheba.com/archives/12889#respond Mon, 31 Aug 2020 08:57:06 +0000 http://prothomsheba.com/?p=12889 জসিম উদ্দিন, চুনারুঘাট ॥ চুনারুঘাট উপজেলার ১০নং মিরাশী ইউনিয়নের এসো পাশে দাড়াঁই সংগঠনের উদ্যোগে অসহায় রোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট রোজ মঙ্গলবার সংগঠনের কর্মীদের উদ্যোগে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলোনিয়া গ্রামের মোঃ ফারুক মিয়ার ও ৩০ আগস্ট রবিবার ৫নং ওয়ার্ডের হুরপাড়া গ্রামের ছুরত আলীর হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দাতা সদস্য সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান,মোঃ আফরোজ মিয়া,মোঃ মাসুক মিয়া,সভাপতি শাকিবুর রহমার বাপ্পু, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম,মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন, আলাউদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক তোফয়েল আলম মোল্লা,জসিম উদ্দিন,জাকারিয়া ইসলাম রাজু ,মোঃ হাসান আলী,সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম, অর্থসম্পাদক জয়নাল আবেদিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন লস্কর,সহ-দপ্তর সম্পাদক রশিদ মিয়া,সদস্য আশরাফুল ইসলাম, রকিব মিয়া, শামিম মিয়াসহ প্রমূখ। সংগঠনের সভাপতি শাকিবুর রহমার বাপ্পু বলেন, আমরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রতি ঈদে গরিব অসহায় দরিদ্রদেরকে ঈদ সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদান করে আসছি । তিনি আরও বলেন এই মহত কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। এতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, ফারুক মিয়া বহুদিন যাবত দুর্ঘটনায় আহত অবস্তায় বিনা চিকিৎসায় ও খুব কষ্টে দিন-যাপন করছেন। তিনি ৬ মাস আগে চট্টগ্রামের ফ্যাক্টরী থেকে আহত হন। ছুরত আলী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে তার শশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অনুদান পেয়ে ফারুক মিয়া ও ছুরত আলী এবং তাদের পরিবারের সকলে সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/12889/feed 0
পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশেষ উৎসবের দিন https://prothomsheba.com/archives/8408 https://prothomsheba.com/archives/8408#respond Mon, 13 Jan 2020 15:55:08 +0000 http://prothomsheba.com/?p=8408 যীশু অাচার্য্য:

ছোটবেলা থেকে সংক্রান্তি মানেই বছরের এই একটি সংক্রান্তি আমার কাছে ছিল বিশেষ একটা দিন। এই পৌষ সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকতো দীর্ঘ পূর্বপরিকল্পনা। প্রায় এক মাস আগে থেকেই শুরু হতো মাঠে মাঠে ন্যাড়া(কৃষকরা মাঠ থেকে ধান কেটে নেওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ/একপ্রকার খর) সংগ্রহের কাজ। সাধারণতঃ এ সময়টায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত প্রায়। আর তখন যেহেতু পড়ালেখা থাকতো না কাজেই প্রতিদিন একবেলা মাঠে মাঠে ন্যাড়া সংগ্রহ চলতো মহা সমারোহে। বাড়ির পাশের আঙিগনা(খলা)য় বিশাল বিশাল স্তুপ দিতাম সেগুলোর। আর পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন চলতো ভেড়া-ভেড়ি(ভেড়ার ঘর) তৈরির কাজ। এতে লাগতো বাঁশ আর খড়। প্রথমে একটি উঁচু বাঁশকে খড় দিয়ে মুরিয়ে মাটিতে পোতা হতো। আরকেটি ছোট বাঁশকে খড়ে পেছিয়ে প্রথম বাঁশের সাথে আড়াআড়ি বেঁধে হাতের আকার দেয়া হতো। পরে মাটিতে পোতা বাঁশটিকে কেন্দ্র করে চারদিকে বৃত্তাকারে, সংগ্রহকৃত ন্যাড়া/খড় দিয়ে বোঝাই করা হতো। মধ্যে দেয়া হতো বিশেষ ধরনে বাঁশ। পাতলা আর আখি বিশিষ্ট, যা আগুনের তাপে বিস্ফোরিত হতো বিকট শব্দে। প্রতিটি শব্দের সাথে সাথে হৈ…হৈ….. রব দিতাম সবাই। গ্রামে প্রায় ৪/৫ টি ভেড়া-ভেড়ি তৈরি হতো। কার ঘরে কতটি বিস্ফোরন হতো তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত। রাতে পাহাড়া দিতাম যাতে কেউ এসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে না যায়।বন্ধু অপুল,সুমন সহ কয়েকজন মিলে ভেড়ার ঘরে থাকতাম। নির্ঘুম রাতকে আনন্দময় করে তোলার জন্য আনুষাঙ্গিক আয়োজনও থাকতো। যেমন, মাংস রান্না করে খাওয়া, মাইক বাজিয়ে গান করার, ক্যাসেট প্লেয়ারে সারারাত গান চলতো। তখনতো আর এম্পি ফোর কিংবা এম্পি থ্রি ছিল না। আমরা ক্যাসেট প্লেয়ারে গান চালিয়ে তার সামনে মাইক্রোফন ধরে মাইকে বাজাতাম। এসব আনন্দযজ্ঞে সামিলে থাকতেন আমাদের চেয়ে কয়েক বছরের সিনিয়র ভাইরাও। তাদেরকে আমরা সামিল রাখতাম মূলত ফান্ডিংএর সুবিধার জন্য। তখনতো আমাদের পকেটে মাইক ভাড়া করার, মাংস কেনার এত টাকা থাকতো না। যাইহোক, পরদিন অর্থাৎ সংক্রান্তির দিন ভোরে উঠে (প্রায় ৪:০০টা) ঠান্ডা পানিতে স্না সেরে নতুন কাপড় পড়ে সবাই গিয়ে আগুন জ্বালাতাম ঐ ভেড়ার ঘরে। বাড়ির সব বয়েসর সকলে এসে আগুন পোহাতো এক সাথে। সে এক বিশাল অগ্নিযজ্ঞ। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলত সে পর্ব। তারপর পিঠা খাওয়ার পালা। আগের দিন মা-কাকিরা বিকেল থেকে পিঠা তৈরিতে বসতেন। বাবা-কাকারা রাতে বড় বড় মাছ নিয়ে আসতেন বাজার থেকে। পরদিন গ্রামে গ্রামে সকালে সামাজিক কীর্তন শেষে সারাদিন চলত খাওয়া-দাওয়ার পালা। অার অাজ ডিজিটাল বৌ রা ঘরে বসে অর্ডার দেয় ইতালিয়ান পিৎজা। এখন পিঠা তো দুরের কথা কেউ কারো বাড়ি গেলে নাক টানে। অাজ এটা কেবল ফেসবুকে সীমাবদ্ধ। ২ টা পিক অাপলোড করলাম তো হয়ে গেল। অাগে চলতো ধুতি পাঞ্জাবী অার দেশী তাতের শাড়ী অার অাজ চলছে কিরনমালা জুতারমালা সহ ইত্যাদি অায়োজন। স্পন্সর বাই স্টার জলসা এন্ড জী বাংলা সিরিজ । দিনবদলের সাথে সেই অাবহমান ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায়। অাজ যখন সেই স্মৃতিচারণ গুলো মনে হয় ভাবি কোথায় গেল সেই দিনগুলো। ফিরে পেতে চাই অাজো একবার হলেও। তবে সব মিলিয়ে দারুণ ছিল আমার ছোটবেলার পৌষ সংক্রান্তিগুলো।
অাসুন বিদেশী সংস্কৃতি বর্জন করে দেশী সংস্কৃতি কে লালন করি।

লেখকঃঃ- সাংবাদিক, কলামিস্ট।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/8408/feed 0
এখনকার যুগে টাইমপাস প্রেম https://prothomsheba.com/archives/8359 https://prothomsheba.com/archives/8359#respond Wed, 08 Jan 2020 11:04:19 +0000 http://prothomsheba.com/?p=8359 ” প্রেম মানেনা কোন বাধঁন, জাত, ধর্ম, বর্ণ ” প্রেম অবুঝ,, আর অবুঝ প্রেমের সরলতা নিয়ে অনেকেই চলনা ও মায়াবী ভালবাসা দেখি নোংরামিতে আবদ্ধ হচ্ছেন। যুগযুগান্ত থেকেই পেয়ে এসেছে প্রেম আর প্রেমের মধুর লগ্ন। জাত, ধর্ম ত্যাগ করে প্রেমিককে বিশ্বাস করে মাতা- পিতা সবাইকে ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিকের বাড়িতে আসা। অনেক পরিবারে মেনে নেয়,, অনেকে আবার মেনে নিতে চায়না,, অনেকে মেনে নিলেও মন থেকে মেনে নেন না,, পারিবারিক যন্ত্রণা সহ্য করেও পরিবারের সবার সাথেই মিলেমিশে থাকেন। কলিহতজীব,, বর্তমানে প্রেমের ধারণ পাল্টে যাচ্ছে। ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল প্রেম। এখনকার প্রেমে আবরণ বেশি। অনেক কিছু লুকিয়ে থাকে। লুকানো প্রেমের মাঝেও আসল প্রেম পাওয়া যায়। কিন্তু খুব কম। যে প্রেম দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকা করে ছিলেন সেই প্রেমের মাধুর্য্য সত্যিকার প্রেম আর এই ভুবনে পাওয়া যাবে কী? সম্প্রতিক সময়ে প্রেম ভালবাসার নামে চলছে নোংরামি ও যৌনউন্মাদ “। কাম লালসায় উন্মাদে সত্যিকারের প্রেম ভালবাসা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। সেলেব্রেটি প্রেমিক- প্রেমিকারা টাইমপাস প্রেম করেন। যেমন – একটা করে কদিন পর এটা ছেড়ে অন্য আরেকটা প্রেম করেন। আবার একসাথে ৩/৪টা প্রেমও চলে। কদিন আনন্দপূর্তি করে ছেড়ে দেওয়া এখনকার প্রেম ভালবাসা। সম্প্রতিক বিভিন্ন গনমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে ফিল্মি স্টাইলে অপরাধে ঝুঁকছে উঠতি বয়সের যুবসমাজ। সিক্স -সেভেন পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও প্রেম প্রেম খেলায় মাতোয়ারা। পড়াশোনায় মন না দিয়ে ভ্রাম্যমাণ যন্ত্র (মোবাইল ফোন)ব্যবহার। মগজ ধুলাই করছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ফলে ধংসের পথে এগুছে তরুণ সমাজ। টাইমপাস, যৌনউন্মাদ ও মায়াবী চলনার প্রেম ত্যাগ করে সত্যিকারের প্রেম করুণ,, যাতে মাধুর্য্য থেকে,, এ প্রেমে কোনো নোংরা ভাব যাতে না থাকে ,, পরিবারে সম্মতিক্রমে যাহার সাথে প্রেম করবেন তাকেই বিয়ে করুণ,, এবং অবাধ চলাফেরা থেকে বিরত থাকুন।

লেখক
শংকর শীল
চুনারুঘাট/হবিগঞ্জ।
তারিখঃ ০৮.০১.২০২০ইং

]]>
https://prothomsheba.com/archives/8359/feed 0
মৃদ্ধ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ https://prothomsheba.com/archives/3070 https://prothomsheba.com/archives/3070#respond Wed, 27 Mar 2019 05:57:42 +0000 http://prothomsheba.com/?p=3070 ্আবুল হাসান ফায়েজ, আগরতলা (ত্রিপুরা) থেকে ফিরে : উত্তর-প‚র্ব ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জাদুঘর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার প্রাণকেন্দ্রে শ্বেত শুভ্র প্রাসাদটি ২০একর জমির ওপর স্থাপিত। স্থানীয়রা রাজবাড়ি নামেই ডাকেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রাসাদ এটি। ১৯০১ সালে তৎকালীন রাজা রাধা কিশোর মানিক্য এটি তৈরি করেন। প্রাসাদের বাইরে দুটি বড় দিঘি রয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা নিয়মিত এখানে বেড়াতে আসেন। প্রাসাদের নিচ ও দ্বিতীয়তলায় রয়েছে সুন্দর পরিপাটি জাদুঘর। জাদুঘরটিতে আছে সারা ভারত এবং সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলোর বিভিন্ন যুগের প্রতœতত্ত¡, চারু ও কারু শিল্পের অনেক নিদর্শন। প্রদর্শিত প্রতœবস্তুর পাশে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি ত্রিপুরা জাতির নিজস্ব ভাষা ককবরক এ বিবরণ লেখা। জাদুঘরের গ্যালারিতে সাজানো আছে বিভিন্নস্থানে পাওয়া অনেক প্রস্তর মূর্তি, গাছের জীবাশ্ম, প্রেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাসের মানচিত্র। প্রতœতাত্তি¡ক খননে পাওয়া সোনা, রূপা আর তামার মুদ্রাও আছে। মৃৎশিল্পের পাশাপাশি পোড়ামাটি ও ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তি। আদিম যুগের বেশ কিছু শিলালিপি গ্যালারিতে সাজানো। তৈল চিত্র এবং বস্ত্র আর অলঙ্কার। সংস্কৃত মহাকাব্যের সংগ্রহও আছে এখানে। দীর্ঘ সময় ত্রিপুরা শাসন করা মাণিক্য রাজবংশের রাজাদের চিত্র ও ইতিহাস। গ্যালারিতে প্রতœতত্ত¡, উপজাতীয় সংস্কৃতি, পেইন্টিং, বিভিন্ন যুগের ভারতীয় সংস্কৃতির নির্দশন। মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা সভ্যতার কিছু প্রস্তর মুদ্রাও রয়েছে। বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সাজানো রবিন্দ্র গ্যালারী। বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আর্কষণীয় হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারী। এ গ্যালারীতে সাজানো আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের ছবি। ততকালীন ফটো সাংবাদিক রবিন সেনগুপ্তের এসব দুর্যোগকালীন সময়ের ছবিতে ফোটে ওঠেছে শরণার্থীদের দু:খ-দুর্দশার চিত্র। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে আসা তরুন মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন অপারেশনের ছবি। এছাড়াও এই গ্যালারীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা। দৈনিক বাংলা, আজাদ, সংবাদসহ সে সময়ের পত্রিকাগুলো সাজানো আছে। বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষনের প্রতিকৃতি সাজানো রয়েছে গ্যালারীটিতে।
কলকাতা থেকে বেড়াতে এসেছেন এক পরিবারের পাঁচজন, তাদের একজন গৌরভ চক্রবর্তী বলেন, কলকাতা থেকে খুব সহজে আকাশ পথে আগরতলায় আসা যায়। অবসর সময় কাটানোর জন্য ত্রিপুরা রাজ্যটি অন্য জায়গা থেকে বেস্ট। কুলাহলমুক্ত পরিবেশ, পরিস্কার পরিছন্ন শহর এবং স্বল্প খরচে এখানে বেড়ানো যায়। এখানকার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয়। এ প্রাসাদের জাদুঘর, দিঘী, মন্দিরে সময় কাটিয়ে ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা শাহরিয়ার জানান, আগরতলার রাজবাড়ী দেখতে খুব সুন্দর। আগেও আমি এখানে এসেছিলাম। জায়গাটি দেখতে ভালো লাগে। এখানকার জাদুঘরটিতে দুষ্পাপ্য অনেক জিনিস দেখা যায়। জাদুঘরটি দেখলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়। তবে একটা ব্যাপার আমার কাছে ভালো লাগে নি। সেটা হলো প্রাসাদের প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ১৫ রুপি আর বিদেশীদের জন্য ১৫০ রুপি। বাংলাদেশ থেকে এখানে অনেক পর্যটক আসেন তাই বাংলাদেশীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের সমান করলে ভালো হতো। অথবা সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশের পর্যটকতের জন্য প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের সমান করলে ভালো হয়।
]]>
https://prothomsheba.com/archives/3070/feed 0
আমি হয়তো ওর চেয়ে আর ভালো কাউকে পাবো না! https://prothomsheba.com/archives/1313 https://prothomsheba.com/archives/1313#respond Sat, 02 Feb 2019 20:38:33 +0000 http://prothomsheba.com/?p=1313 মাশাহেদ হাসান সীমান্ত ঃ- এক আকাশ ভাই চলে গেছেন। আর এরকম অনেক আকাশ ভাই চুপ করে বসে আছেন। তারা কোনও দিন আত্মহত্যা না করলে আমরা জানতেও হয়তো পারবো না কতটা গোপন কষ্ট নিয়ে তাঁরা বেঁচে আছেন। কিছু কিছু গল্পে হয়তো স্বামী/প্রেমিক ভিলেন, স্ত্রী/প্রেমিকারা সেখানে আকাশ ভাইয়ের মতো।

যারা এখনও আমাদের মাঝে আকাশ ভাইয়ের অতীতের মত নিরবে আছেন, আমাদের উচিৎ তাদের উপরে বোঝা না চাপিয়ে তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করা। আপনার নিজের মুখে কিছু বলতে হবে না। আমার এই লেখা থেকে তারা নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন।

আকাশ ভাইয়ের সমস্যার সূচনা কিন্তু বিয়ের অনেক আগেই। তাই আমি সূত্রপাতের লগ্ন থেকে আলোচনা করছি। সমাধানটাও সেখানেই। পুরো লেখাটা বিয়ের আগে সম্পর্কের এই জটিলতাগুলোর সমাধান নিয়ে লেখা। যারা যারা প্রেমের এই স্টেজে আছেন তাদের বেশি আকজে লাগবে এটা।

২০১২ সাল থেকে এ রকম অসংখ্য মানুষের সাথে ওয়ান-টু-ওয়ানে বসে তাদের কষ্টের কথাগুলো শোনা হয়েছে। কেও না বলে দিলেও আমি কিছুটা জানি, আকাশ ভাইয়ের মনে কী কী কাজ করেছে? মিতু আপুর মনে কী কী কাজ করেছে?

আকাশ ভাইয়ের মনে কী কী কাজ করেছে?

১। ভাই/আপু; আপনাদের কেও এই কথাটা বলে নাই। আমি বলতেছি। ভালোবাসা আপনার প্রাপ্য; কেও একটু ভালোবাসা আর সাময়িক কেয়ার দিয়ে আপনাকে সারা জীবনের জন্য কিনে ফেলেনি।
———————————————–

স্কুলে একটা সময় ছিলো যখন প্রতি মুহুর্তে আমার সাথে মানুষ খারাপ ব্যবহার করতো। আমার শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা নিয়ে, আমার শারীরীক গড়ন নিয়ে, আমার বাবার চাকরি নিয়ে বলতো, আমি অনেক অহংকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে আমার মোটিভেশন দেয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে অনেক ট্রল হলো। সংখ্যা দিয়ে অনুভূতি বোঝানো যায় না। জীবনে এমন একটা ভয় ঢুকে গিয়েছে, ইভেন এখনোও মাঝে মাঝে নতুন কাউকে দেখলে অপমানিত আর আঘাতপ্রাপ্ত হবার ভয় লাগে।

এই মুহুর্তগুলোতে কেও আমার সাথে সামান্য ভালো ব্যবহার করলে আমি গলে যেতাম, অনেক বেশি আবেগআপ্লুত হয়ে যেতাম।

শুনতে খারাপ লাগলেও, আকাশ ভাইয়ের চেয়ে অন্য ছেলেগুলো, যাদের সাথে উনার সম্পর্ক ছিলো, তাঁরা গুড-লুকিং ছিলো। ভৌগলিকভাবে ভারতীয় ছেলে-মেয়েরা আমাদের চেয়ে উত্তম সৌষ্ঠব পেয়ে থাকে। তাই না দেখেও বলা যায়, প্যাটেল দেখতে যথেষ্ঠ আকর্ষণীয় ছিলো।
যে সব ছেলেরা অনেক বেশি সহজ-সরল, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই মেয়েদেরকে আকর্ষিত করার বেসিক দক্ষতা বা প্রচেষ্টাও থাকে না। কিন্তু কিছু কিছু মেয়ে নিজে থেকেই তাদের সারল্যে আকৃষ্ট হন। এই সহজ সরল মানুষেরা প্রতি মুহুর্তে নিজেকে অন্য স্মার্ট ছেলেদের সাথে তুলনা করে, ‘আমি হয়তো ভালোবাসা পাবারই যোগ্য নই বলে মনে করা শুরু করেন।‘ তখন কেও তাকে সামান্য কেয়ার করলেও তারা সেটাকে নিজের জীবনের প্রথম এবং শেষ সম্বল হিসেবে বিবেচনা করেন।

একটা ভয় ঢুকে যায়, যেভাবেই হোক, এই ছেলে/মেয়ে কে আমার ধরে রাখতে হবে। একে হারিয়ে ফেললে হয়তো আমি আর জীবনে ভালোবাসাই পাবো না।

এই ভয় থেকে আমরা প্রশ্রয় দেয়া শুরু করি। অন্যায় মেনে নেয়া শুরু করি। নিজেকে দুর্বল করে অন্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। কান্না দিয়ে, আবেগ দিয়ে, নিজের সবটুকু দিয়ে, নিজের দুর্বলতা দিয়ে আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করি।

সম্পর্কে দুটো বিষয় অনেক কষ্টের।
১। নিজে কাউকে না পেলে যতটা কষ্ট লাগে, কাউকে পেয়ে হারালে তাঁর চেয়েও বেশি কষ্ট লাগে।
২। নিজে কাউকে হারালে যতটা কষ্ট লাগে, অন্য কারোও হয়ে গেলে তার চেয়েও বেশি কষ্ট লাগে।

সমীকরণটা এরকম
কাউকে না পাওয়ার কষ্ট < পেয়ে হারানোর কষ্ট < অন্য কারও হয়ে যাবার কষ্ট।
————————-

একটা ভয় ঢুকে যায় এভাবে যে, আমি একজন কাংখিত মানুষকে পেয়েছিলাম, অথচ ওকে আমি ধরে রাখতে পারলাম না। আমি হয়তো এর চেয়ে আর ভালো কাউকে পাবো না। হয়তো আমারই কোনোও ঘাটতি আছে।
——————–
কেন আকাশ ভাই ক্ষমা করেছিলেন?
আমরা অনেকেই আশা করে থাকি, আজ আমি আমার পার্টনারকে ক্ষমা করলে তাঁর আমার প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যাবে। আমাকে আগের চেয়েও আপন মনে করবে। ‘ক্ষমা’ করলে কৃতজ্ঞতা আসে, তাও সাময়িক। ক্ষমা থেকে সব সময় ভালোবাসা আসে না।

ক্ষমা বলতে আসলে কী বোঝায়?
আপনি কি ‘ক্ষমা’ শব্দের শাব্দিক অর্থ জানেন? এর অর্থ হচ্ছে একটা কাজ শাস্তিযোগ্য জেনেও নিঃশর্তভাবে দায়মুক্তি দেয়া। সম্পর্কে ক্ষমার শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই কাজে দেয় না। সহজ কথায়, শর্ত দিয়ে কখনও ক্ষমা হয় না। কারো কাছ থেকে কোনোও কিছু প্রত্যাশা করে ক্ষমা করে দেয়াটা অনেকক্ষেত্রে বোকামি।

প্রতারণার পর মানুষ ক্ষমা চায় মূলত ৩টা কারণে
১। নিজেকে সেফ করার জন্য। অন্য কথায়, ভবিষ্যতে এ প্রসংগুলোতে যাতে প্রশ্ন ফেস করতে না হয়।
২। মানুষটাকে না হারানোর জন্য
৩। পাবলিক শেমিং-এ না পড়ার জন্য

– মিতু আপু কেন আকাশ ভাইকে ছেড়ে দিলেন না?
জীবনে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। জীবনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা আমরা সব চাই। এখনোও অনেক ছেলে মেয়ে আছে (বিশেষ করে মেয়েরা), যারা প্রেম করার জন্য দুরন্ত ছেলে খোঁজে আর বিয়ে করার জন্য দায়িত্ববান ছেলে খোঁজেন।

তাঁর সামনে দুইটা অপশন ছিলো
অপশন ১ঃ আকাশ
১। ছেলেটা ভালো এবং একটু সহজ-সরল
২। ছেলেটা আমাকে ক্ষমা করে
৩। ছেলেটা দায়িত্ববান
৪। ছেলেটা আমার জন্য সেফ

অপশন ২ঃ প্যাটেল + মাহবুব+ শোভন + অন্যান্য
১। আমি যা শুনতে চাই আমাকে তা শোনায়।
২। তাঁরা আমাকে জীবনটা এনজয় করা শেখায়।
৩। তাঁরা জানে কীভাবে আমাকে খুশী করতে হয়।

মিতু আপুর ভেতরে যেমন আকাশ ভাইকে হারানোর ভয় ছিলো, একই সাথে জীবনটা উপভোগ করারও তাড়না ছিলো। মিতু আপুর এই জায়গায় অনেক ছেলেও আছে। যারা তাদের প্রতি পুরোপুরি ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাওয়া মানুষটাকে ধরে রেখে নিজের জীবনটাও উপভোগ করছেন।

লিভ-টুগেদারের পর এখন আসছে নতুন কালচার, ‘চিট-টুগেদার’। তুমিও চিট করেছো, আমিও এখন করবো। এভাবে সমস্যা আরও জটিল হয়। কাদার বিপরীতে কাদা ছুঁড়লে কখনও কাদা কমে না।
কথায় কথা বাড়ে।

সব সমস্যা মূলেই একটা জিনিস।

‘ভয়’

 ওর মতো হয়তো আর কাউকে পাবো না।
 আমি অকে অন্য কারও সাথে দেখতে পারবো না।
 মানুষকে কী বলবো?
 বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড/স্বামী/স্ত্রী চেঞ্জ করলে মানুষ আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুলবে।
 নতুন মানুষটাও যদি ওর মতই হয়।
 এতদিন ওর পেছনে এফোর্ট দিয়েছি, নতুন কেও আসলে তাকে তো আমার দেয়ার কিছু থাকবে না।
 আমার পক্ষে অন্য কাউকে আর ওর মতো ভালোবাসা সম্ভব না।

এই যে এতগুলো ভয়, এই সবগুলো ভয় মিলিত হয় এক বিন্দুতে
, ‘আমি হয়তো এর চেয়ে আর ভালো কাউকে পাবো না।‘। এই একটা ভয় দূর হলেই উপরের সব ভয় চলে যায়।

আপনি কি জানেন কখন আমাদের মনে হয়, ‘আমি বোধ হয় এর চেয়ে আর ভালো কাউকে পাবো না?’

যখন আমরা বিশ্বাস করে বসি, আমি এর চেয়ে ভালো কারও যোগ্য নই। আমার পক্ষে নিজের বেঞ্চ মার্ককে আর বাড়ানো সম্ভব না, নিজেকে আর উন্নত করা সম্ভব না। মূলত নিজেকে আমরা নিজের ক্ষমতা আর যোগ্যতাকে আন্ডারএস্টিমেট করি দেখেই আমরা পচনধরা মানুষগুলোকে ছাড়তে পারি না। আমরা সেই মানুষগুলোকেই জীবনে আমাদের প্রাপ্যের চেয়েও বেশি মনে করি। বরং, আমরা চাইলেই কিন্তু নিজের প্রাপ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারি।

সহজ কথায়
1. Either change the person
2. Or adjust Yourself
3. But never lose yourself

নিজের লেভেল বাড়ান। সঠিক সময়ে সঠিক মানুষটার সাথে সঠিক জায়গায় দেখা হয়ে যাবে।

আর একটা জিনিস মনে রাখবেন। ধর্ষণের পর ধর্ষকের দিকে আংগুল না তুলে ধর্ষিতার পোষাকের দিকে ইঙ্গিত করা যেমন অনুচিত, ঠিক সেরকম সম্পর্ক ভাঙ্গনে যে দায়ী, তাকে বাদ দিয়ে যে নিজেকে সরিয়ে এনেছে তাঁর দিকেও আঙ্গুল তোলা অপরাধ।
———————
আর মুখে যত যাই বলি, বিয়ের পরে অনেক পরিবর্তনই কঠিন। বিয়ের আগে মানুষ চেনাটা জরুরী। পরিবর্তন্টা সেখানে কম কষ্টের।
———————

যদি আপনার মনে হয় সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সুন্দরী বা সুদর্শন করে পাঠাননি, তার মানে এই নয় যে, তিনি চান না কেও আপনার অবয়বের প্রশংসা করুক, আপনার সঙ্গ প্রত্যাশা করুক, বরং তিনি এমন একজনকে রেখেছেন যে শুধু আপনার জন্যই সৌন্দর্যের প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞাকেও বদলে দেবে, তার কাছে আপনিই হবেন সৌন্দর্যের মানদণ্ড !!!
————————-

জীবনও আপনার, সিদ্ধান্তও আপনার। আমি শুধু কিছু কিছু পরিস্থিতি আর ব্যক্তির চিন্তাকে ব্যাখ্যা করলাম।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/1313/feed 0
কুইজ জিতে বিশ্বকাপ দেখা https://prothomsheba.com/archives/320 https://prothomsheba.com/archives/320#respond Sat, 07 Jul 2018 10:59:04 +0000 http://themesbazar.com/newsfresh/?p=320 ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে প্রথম আলোর কুইজ বিজয়ী হয়ে রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন হায়দার আলী ও আদিব তানভীর। গ্রুপপর্বের দুটি ম্যাচ তাঁরা উপভোগ করেছেন গ্যালারিতে বসে। তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা থাকছে এই প্রতিবেদনে।

একে তো অপরিচিত, তার ওপর সমবয়সীও নন। এমন দুজন মানুষ একসঙ্গে ঘুরে এসেছেন রাশিয়া। ভ্রমণটা কেমন হলো! কথাটা পাড়তেই আদিব তানভীর বললেন, ‘হায়দার আংকেল ছিলেন অভিভাবকের মতো। এটা বরং পুরো ভ্রমণে সহায়তা করেছে।’ আদিবের কথা শুনে হায়দার আলীর মুখেও হাসি ফুটে উঠল। বললেন, ‘আদিব বেশ বন্ধুবৎসল মানুষ। সবার সঙ্গে মিশতে পারে। দীর্ঘ ট্রেন ভ্রমণে ও যে কত বন্ধু বানিয়ে ফেলল। আমি তো অনেকটা সময় ঘুমিয়েই পার করে দিয়েছি।’ তাঁর হাসিমুখ দেখে মনে হলো, সন্তানসম একজনের সঙ্গে ঘোরাটাকে তিনিও উপভোগ করেছেন।

আদিব তানভীর উচ্চমাধ্যমিক শেষে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঢাকার ফার্মগেটে তাঁদের বাসা। হায়দার আলীও ঢাকাতেই থাকেন। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তিনি। বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রথম আলোর ‘যে জানে, সে ওড়ে’ কুইজে বিজয়ী হয়ে ঘুরে এলেন রাশিয়া। শুধু কি ঘোরা?

ওই যে নিচ থেকে গুনে গুনে পাঁচ নম্বর সারিতে বসার সুযোগ আর চোখের সামনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দেখা—আদিব তানভীরের কাছে সে সময়টা এখনো অবিশ্বাস্য ঠেকে। যেমন হায়দার আলীর স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে গ্যালারিতে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে পাওয়া। এমন আরও অনেক অবিশ্বাস্য মুহূর্তের গল্পই দুজনে শোনাচ্ছিলেন প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/320/feed 0
মুক্তিযুদ্ধ ও ‘বন্দী শিবির থেকে’ https://prothomsheba.com/archives/245 https://prothomsheba.com/archives/245#respond Fri, 15 Dec 2017 13:12:53 +0000 http://themesbazar.com/newsfresh/?p=245 একটা ভাষার ও জাতির বড় কবির যে বৈশিষ্ট্য, তার অধিকাংশই শামসুর রাহমানের ছিল। সবচেয়ে বড় যে বৈশিষ্ট্যটি খালি চোখেই ধরা পড়ে তা হচ্ছে, তাঁর কবিতার একটা বড় অংশের রূপ-রূপান্তরের ইতিহাস বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রূপ-রূপান্তরের ইতিহাসের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলেছে। তাঁর কবিতা অধিকাংশ সময় পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠীর চেতনার মর্মশাঁসকে ধারণ করে শিল্পিত হয়েছে। বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২) কাব্যের ক্ষেত্রে এ কথা একেবারে চোখ বুজে বলা যায়। এই কবিতার বইয়ে জাতীয়তাবাদের অ্যাসেন্স, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় চৈতন্য আর শিল্পিতার একেবারে মণিকাঞ্চন যোগ ঘটেছে।

পূর্ব বাংলার মানুষ ১৯৭১ সালে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বেল হয়ে একত্র হয়েছিল, আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে আত্মত্যাগের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কারা সেই যুদ্ধে গিয়েছিল, আত্মাহুতি দিয়েছিল? হিন্দু নাকি মুসলমান? শামসুর রাহমানের কবিতা লক্ষ করলে দেখব, বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাই সেদিন ক্রিয়াশীল ছিল। এ কারণে কবি যখন মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া মানুষের তালিকা করতে যাচ্ছেন, তাঁর সেই তালিকা কিন্তু পূর্ব বাংলার বাঙালি জনচৈতন্যের অসাম্প্রদায়িক মনোভাবটিকে অনায়াসে প্রকাশ করেছে। কবি যে মুহূর্তে বলেন, ‘তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা,/ সকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,/ সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর’, তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা। এ কারণে কবি ‘সকিনা বিবি’ আর ‘হরিদাসীর’ আত্মত্যাগের বয়ানকে পাশাপাশি রেখেছেন, সমান মর্যাদা দিয়েছেন। একই প্রবণতা আমরা লক্ষ করি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতায়। সেখানে নজরুল আর রবীন্দ্রনাথকে কবি সমানভাবে তাঁর স্বাধীনতার স্বপ্ন-সাধের মধ্যে একাকার করে দিয়েছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘অজর কবিতা’কে যেমন স্বাধীনতার সমার্থক মনে করেছেন, তেমনি নজরুলের ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাস’কেও স্বাধীনতা হিসেবে অনুভব করেছেন।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ যে সম্প্রদায়ের চিহ্নসূত্র লুপ্ত করতে পেরেছিল, তা শামসুর রাহমানের ‘বন্দী শিবির থেকে’ কাব্যের পুরাণ ব্যবহারের ধরনেও স্পষ্ট হয়েছে। যেমন ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,/ তোমাকে পাওয়ার জন্যে/ আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?/ আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?’ ‘খাণ্ডবদাহন’—এই হিন্দু মিথের ব্যবহার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জাতীয়তাবাদী চেতনার অন্তর্গত সৌরভ-সুগন্ধির স্মারক হয়ে উঠেছে। একই ধরনের মিথের প্রয়োগ লক্ষ করা যায় ‘প্রবেশাধিকার নেই’ কবিতায় ‘দুর্বাসা’ মুনি আর ‘প্রাত্যহিক’ কবিতায় ‘ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির’-এর মিথ ব্যবহারের মধ্যে। স্মরণ রাখা দরকার, ষাটের দশকে পূর্ব বাংলার কবিতা ও সংস্কৃতি থেকে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকে উপড়ে ফেলতে কত কসরতই না করেছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। তার বিপরীতে কবিতায় এসব মিথের ব্যবহার জাতীয়তাবাদী চেতনা এবং এর ধারক-কবির শক্তি-সাহসকে প্রকাশ করে বৈকি।

শুধু অসাম্প্রদায়িকতা নয়, অন্য অনেক দিক থেকেই কবিতার বইটি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধারণ করে আছে। সব জাতীয়তাবাদী চেতনার লক্ষ্য থাকে জাতির অধিকাংশ মানুষকে একই আবেগ আর স্বপ্নের ছায়ার নিচে নিয়ে আসা। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পূর্ব বাংলার জাতীয়তাবাদী চেতনাও সেই সাধ্য-সাধনাই করেছে। এ জন্য জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-সংগ্রামের সময় পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বারবার অর্থনৈতিক সাম্য, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ইত্যাদির কথা বলেছে। পূর্ব বাংলার সাধারণ মানুষ এসবের প্রশ্নে এক হওয়ার ব্যাকুলতা প্রদর্শন করেছে এবং দিনে দিনে এক হয়েও উঠেছে। ফলে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচনে ঘরে তুলেছে সফলতার ফসল। ১৯৭১-এ দ্বিধাহীন চিত্তে প্রায় অস্ত্র ছাড়াই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ঘর ছেড়েছে। স্বাধীনতার আকুল পিপাসা সর্বস্তরের মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিল। আর সবাইকে একই স্বপ্নে শামিল করানোর এই কাজটি করেছিল জাতীয়তাবাদী চেতনার মধ্যকার শ্রেণিচেতনা। অর্থনৈতিক সাম্যের যে ধারণা জাতীয়তাবাদী চেতনার মধ্যে ছিল, তা-ই সাত কোটি মানুষকে এক পতাকার তলে দাঁড় করেছিল। শামসুর রাহমানের ‘বন্দী শিবির থেকে’ কাব্য পড়তে গেলে জাতীয়তাবাদের এই আদর্শটি সহজেই চোখে পড়ে। কবি খুব স্পষ্টভাবেই বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য কারা কারা অপেক্ষা করছে বা আত্মত্যাগের জন্য ঘর ছেড়েছে। কবির তালিকা অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক। তালিকায় স্থান পেয়েছে ‘হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী’, ‘সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক’, ‘কেষ্টদাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা’, ‘মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি’, ‘রুস্তম শেখ, ঢাকার রিক্শাওয়ালা’ আর ‘রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো সেই তেজী তরুণ’। একই প্রবণতা লক্ষ করা যায়, তিনি যখন স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত করেন ‘গ্রাম্য মেয়ে’ থেকে শুরু করে ‘মেধাবী শিক্ষার্থী’ হয়ে ‘মজুর যুবা’ পর্যন্ত। কবিকৃত আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এই তালিকা সমকালীন জাতীয়তাবাদী চেতনার ভেতরবাড়িকে উজালা করে আছে। মুক্তিযুদ্ধ যে একটা জনযুদ্ধ ছিল, এখানে যে সবাই ২৪ বছরের শোষণ-বঞ্চনার হিসাব মেলাতে মিলিত হয়েছিল, এটা যে গরিব মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত ছিল, বন্দী শিবির থেকেতে সেটি কবি বলে ফেলেছেন এক নিশ্বাসে।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/245/feed 0
পেরুর সঙ্গে ড্র করে বাদ পড়ার শঙ্কায় আর্জেন্টিনা https://prothomsheba.com/archives/71 https://prothomsheba.com/archives/71#respond Fri, 06 Oct 2017 08:58:48 +0000 http://themesbazar.com/newsfresh/?p=71 ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/71/feed 0
প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী https://prothomsheba.com/archives/68 https://prothomsheba.com/archives/68#respond Fri, 06 Oct 2017 08:56:43 +0000 http://themesbazar.com/newsfresh/?p=68 স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/68/feed 0