কৃষিবার্তা – Prothomsheba.com https://prothomsheba.com A Online Newspaper of Bangladesh Wed, 21 Dec 2022 04:12:40 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.0.3 সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান : প্রধানমন্ত্রী https://prothomsheba.com/archives/16542 https://prothomsheba.com/archives/16542#respond Tue, 20 Dec 2022 12:15:13 +0000 https://prothomsheba.com/?p=16542 স্টাপ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনের জন্য আবাদি জমি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশ ইতোমধ্যে অপরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভালো মানের ও উর্বর জমি হারিয়েছে । তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণ এবং আবাসনের কারণে বিপুল পরিমাণ উর্বর আবাদি জমি হারিয়ে গেছে, কারণ পূর্ববর্তী সরকারগুলো এতে মনোযোগ দেয়নি। আমরা এই ধরনের জমি আর হারাতে চাই না এবং সে কারণেই আমরা এটি সংরক্ষণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।’সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএইউ), গাজীপুরের ২৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।বিএসএমআরএইউ’র বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। কোনো আবাদি জমি, যা সারাবছর ৩ ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়, শিল্পায়নের জন্য ব্যবহার করা যাবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কউ যদি এই ধরনের জমিতে শিল্প স্থাপন করে, তবে তারা (সরকার থেকে) কোনো সুবিধা পাবে না এবং আমরা এই লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ খুবই ছোট একটি দেশ কিন্তু মানুষের বিপুল সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য উৎপাদন নিরাপদ করতে আমাদের বিদ্যমান আবাদি জমি রক্ষা করতে হবে।’পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞানীদের গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে গবেষণালব্ধ মেধাস্বত্ব (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট) যেন সঠিক উপায়ে সংরক্ষিত হয়, তা নিশ্চিত করার এবং তার সরকারের প্রতিষ্ঠিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলায় তার আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করেন।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/16542/feed 0
সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান : প্রধানমন্ত্রী https://prothomsheba.com/archives/16537 https://prothomsheba.com/archives/16537#respond Tue, 20 Dec 2022 10:35:50 +0000 https://prothomsheba.com/?p=16537 স্টাপ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনের জন্য আবাদি জমি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশ ইতোমধ্যে অপরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভালো মানের ও উর্বর জমি হারিয়েছে । তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণ এবং আবাসনের কারণে বিপুল পরিমাণ উর্বর আবাদি জমি হারিয়ে গেছে, কারণ পূর্ববর্তী সরকারগুলো এতে মনোযোগ দেয়নি। আমরা এই ধরনের জমি আর হারাতে চাই না এবং সে কারণেই আমরা এটি সংরক্ষণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।’সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএইউ), গাজীপুরের ২৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।বিএসএমআরএইউ’র বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। কোনো আবাদি জমি, যা সারাবছর ৩ ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়, শিল্পায়নের জন্য ব্যবহার করা যাবে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কউ যদি এই ধরনের জমিতে শিল্প স্থাপন করে, তবে তারা (সরকার থেকে) কোনো সুবিধা পাবে না এবং আমরা এই লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ খুবই ছোট একটি দেশ কিন্তু মানুষের বিপুল সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য উৎপাদন নিরাপদ করতে আমাদের বিদ্যমান আবাদি জমি রক্ষা করতে হবে।’পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞানীদের গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে গবেষণালব্ধ মেধাস্বত্ব (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট) যেন সঠিক উপায়ে সংরক্ষিত হয়, তা নিশ্চিত করার এবং তার সরকারের প্রতিষ্ঠিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলায় তার আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করেন।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/16537/feed 0
জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি, কৃষকদের মধ্যে স্বস্থি https://prothomsheba.com/archives/16247 https://prothomsheba.com/archives/16247#respond Wed, 30 Mar 2022 06:05:25 +0000 http://prothomsheba.com/?p=16247 স্টাফ রিপোর্টার :- হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ কৃষকদের মধ্যে স্বস্থি নেমে এসেছে। তবে কৃষকরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড খরার কারণে বোরো ফসলসহ শাক সবজি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এরই মধ্যে বোরো ধানের অনেক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা হলেও ফসলের জন্য উপকার হবে। এছাড়া রাস্তা ঘাটে ধুলাবালি থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। চলাচলেও পথচারীদের ব্যাঘাত ঘটছে। এই বৃষ্টির কারণে এখন আর ধুলাবালি বাতাসের সাথে উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। চৈত্রের খড়া থেকে বাচতে গ্রামগঞ্জে অনেক কৃষকরা দোয়া মাহফিল করেছে। এছাড়াও সনাতন ধর্মালম্বীরা বৃষ্টির জন্য ব্যংঙের বিয়েও দিয়েছেন। গতকাল সরেজমিনে শহরের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা যায়, এই বৃষ্টির কারণে ফসলের মধ্যে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/16247/feed 0
মাধবপুরে কৃষক/কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত https://prothomsheba.com/archives/15624 https://prothomsheba.com/archives/15624#respond Thu, 03 Mar 2022 13:05:29 +0000 http://prothomsheba.com/?p=15624 শেখ জাহান রনি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর কন্দাল চাষে উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় কৃষক/কৃষানী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ১০:৩০ মিনিট উপজেলা পরিষদ কক্ষে মিলনায়তন (সচ্ছতায়) কন্দাল চাষ উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় কৃষক/কৃষানী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক জেলা কৃষি অফিস তামিজ উদ্দিন খাঁন। এসময় জেলা কৃষি অফিস উপ-পরিচালক তামিজ উদ্দিন খাঁন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আগত কৃষক/কৃষাণী উদ্দেশ্যে কন্দাল চাষ উন্নয়নে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। পরে প্রশিক্ষণ শেষে কৃষক/কৃষানীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন লস্কর, আইয়ুব খান, সানাউল হক চৌধুরী, মোহাঃ অলিদ মিয়া, বিকাশ বীর, একরামুল আলম লেবু, আলমগীর কবির, হামিদুর রহমান, শেখ জাহান রনি প্রমূখ।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/15624/feed 0
ব্যস্ত জগন্নাথপুরের হাওরপাড়ের কৃষাণীরা https://prothomsheba.com/archives/14500 https://prothomsheba.com/archives/14500#respond Wed, 28 Apr 2021 13:15:44 +0000 http://prothomsheba.com/?p=14500 সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরগুলোতে চলছে বোরোধান কাটার উৎসব। স্হানীয় ভাষায় বলা হয় বৈশাখী উৎসব। আর এ বৈশাখী তুলতে হাওর পাড়ের কৃষকদের সাথে কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন । কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ধান তুলতে কৃষকদের পাশে থেকে কৃষাণীরা কাজ করছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও হাওর পাড়ের কৃষক কৃষাণীরা জানান, একমাত্র বোরো ফসলের ওপর এ উপজেলার কৃষকরা নির্ভরশীল। বোরোধান তুলতে পারলেই কৃষক পরিবারের সারা বছরের আহার জোগানোর পাশাপাশি বিয়ে সাদি ঘর দরজা নির্মাণ সংস্কার কাজ করতে পারেন। আর বোরো ফসল ঘরে না উঠলে তাদের দুঃখ কষ্টের শেষ থাকেনা।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) নলুয়ার হাওরে কথা হয় দাসনোওয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষাণী বিন্দু রানী দাসের সঙ্গে। তিনি তাঁর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে স্বর্নালী দাসকে নিয়ে ধান শুকানোর কাজ করছেন। কাজের ফাঁকে বিন্দু রানী দাস বলেন, বোরো ফসলের ওপর তাদের ছয় সদস্যের পরিবার নির্ভরশীল। এবার ১০ কেদার (৩০ শতাংশে এক কেদার জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তাঁরা খুশি। আর স্বর্ণালী দাস বলেন করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ রয়েছে। তাই আনন্দ মনে ধান তোলার কাজে কৃষক বাবা মার পাশে থেকে কাজ করছেন।

নলুয়ার হাওরের গাদিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা সুলতানা বেগম বলেন, বৈশাখী এলে কৃষকরা ধান কেটে মাড়াই দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পর ধানগুলো শুকিয়ে ঝাড়ি দিয়ে বস্তাবন্দি ও উগারে তোলার কাজ কৃষাণীদেরকে করতে হয়।এবার প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় আমরা খুশি মনে ধান গুলায় তুলতে পারছি।

নলুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য শান্তনা ইসলাম বলেন, হাওর পাড়ের ঘরে ঘরে এখন কৃষকদের পাশাপাশি কৃষাণীরা সমানতালে ধান তোলার কাজ করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের কাজের পাশাপাশি ধান শুকানো ও সংরক্ষণের কাজ করছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, উপজেলায় এবার ২১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ধান তোলার কাজ চলছে। পুরুষের পাশে থেকে নারীরা ধান তোলার কাজ করায় দ্রুত ধান ঘরে উঠছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ জমির ধানকাটা হয়ে গেছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার বলেন, কৃষি কাজে এখন কৃষকের পাশাপাশি সমানতালে কৃষাণীরা কাজ করছেন।ধান কাটা,মাড়াই,শুকানো ও বস্তাবন্দি করে সংরক্ষণ সব কাজে নারীরা পারদর্শী। হাওর ঘুরে ধান তোলার কাজে নারীদের কর্মচাঞ্চল্যতার আনন্দময় দৃশ্য এখন দৃশ্যমান।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/14500/feed 0
কারেন্ট পোকা নামক এক বিপন্নর কাছে ৮০০ একর জমি এখন হুমকির মুখে https://prothomsheba.com/archives/13884 https://prothomsheba.com/archives/13884#respond Mon, 30 Nov 2020 03:50:19 +0000 http://prothomsheba.com/?p=13884 মো মাসুদ আলম মিরাশী থেকেঃ চুনারুঘাটের খোয়াই নদীর পূর্বাঞ্চলে ১০নং মিরাশী ইউনিয়নের একাধিক ধানের জমিতে দেখা গেছে কারেন্ট পোকা নামক এক যাক বিপন্ন ক্ষতিকারক পোকা। যা নষ্ট করছে অনেক জমির পাকা ধান। এই জাতীয় পোকা ১৯৭১ইং সালের পর কোনো জমিতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।এই বছর বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারনে ধান ও সবজি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধানের দাম প্রায় ১হাজার টাকা থেকে ১২শত টাকা মন দরে ধান বিক্রি হবে বলে ও জানান কৃষকরা। পোকা নিধনের জন্য পাকা ধানে ঔষধ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। এই কারেন্ট পোকার দল যেই জমিতে নামছে জ্বালিয়ে ফেলছে ধান সহ গাছ। ১০নং মিরাশী ইউনিয়নে কৃষকের দাবি চুনারুঘাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন এর দৃষ্টি ও নিজ দায়িত্ব পরিদর্শনে আনতে পারে কৃষকের মুখে হাসি।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/13884/feed 0
রাজ্জাক মিয়ার সবুজ বিপ্লব https://prothomsheba.com/archives/13737 https://prothomsheba.com/archives/13737#respond Wed, 18 Nov 2020 04:45:40 +0000 http://prothomsheba.com/?p=13737 মাসুদ আলম,চুনারুঘাট ঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ সবুজ ফলজ বৃক্ষ প্রেমি রাজ্জাক মিয়া। তিনশত প্রজাতির বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ চারা দ্বারা বেষ্টিত ভাই ভাই নার্সারী। এটি চুনারুঘাট উপজেলার সর্ববৃহৎ নার্সারী বলে পরিচিত। উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের পরাঝার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হরিওরপুর গ্রামে অবস্হিত। পরাজার স্কুলের পাশে দাড়ালেই দেখা যায় নজরকারা এই প্রাকৃতিক সবুজ দৃশ্য। সে দিন এই প্রতিনিধির সাথে কথা হয় রাজ্জাক মিয়ার। পয়ত্রিশ বছর সরকারি চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পর নিজ হাতে গড়ে তুলেন এই নার্সারী। যে কোন ফলজ বৃক্ষ প্রেমী সেখানে গেলেই মুগ্ধ হন এমন সুন্দর দৃশ্য দেখলে। চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন সরকার এই নার্সারির ভূয়সী প্রশংসা করেন। আম, লিচু,কামরাঙ্গা, মাল্টা, কমলা,পেপে, আমলকি, পেয়ারা,জামরুল, জলপাই সহ প্রায় তিনশত প্রজাতির চারা রয়েছে এই নার্সারীতে। নাড়ীর আঙ্গিনা সাজাতে বিভিন্ন ফুলের চারা ও রয়েছে এখানে। যে কোন বৃক্ষ প্রেমী এই চারা বাগানে গেলে তাদের চাহিদা মতো চারা পেতে পারবেন এই নার্সারীতে। এই চারা বিক্রি করে ব্যাপক মুনাফা অর্জনের কথা ও জানান রাজ্জাক মিয়া।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/13737/feed 0
নবীগঞ্জে পাহাড়ের পাদদেশে চাষ হচ্ছে ড্রাগন https://prothomsheba.com/archives/7471 https://prothomsheba.com/archives/7471#respond Sun, 24 Nov 2019 03:41:46 +0000 http://prothomsheba.com/?p=7471 ডেস্ক রিপোর্ট : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি দ্বীপ হিসেবে পরিচিত দিনারপুরে মাটি ও আবহাওয়া চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় সম্প্রতি বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বহুগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি ফল ড্রাগন ফল চাষ। এরই মাঝে ড্রাগন চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মশিউর রহমান নামের এক চাষী।

আর এতে এলাকায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। বাজারে ফলের ভাল দাম ও চাহিদা থাকায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। আর অল্প সময়েই অল্প পুঁজিতে ড্রাগন ফল চাষ করে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার বিশাল সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে কৃষি অধিদপ্তর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল হিসেবে খ্যাত দিনারপুর পরগনার পানিউমদা গ্রামের ভিতের অনেক উচু নিচু পথ ফেরিয়ে ববানি চা বাগান এর অবস্থান। আর পাহাড়ের পাদদেশে এই চা বাগানে একাংশেই প্রায় ১ একর জমিতে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাগানের মালিক মশিউর রহমান। এখন এলাকার অনেকেই এ ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

ড্রাগন ফল সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ আগে তেমন পরিচিত ছিলেন না। বেশ কয়েক বছর আগেও বিদেশ থেকে ড্রাগন ফল আমদানি করা হতো। দেশের বড়ো বড়ো সুপারশপগুলোতে উচ্চদামে ড্রাগন ফল বিক্রি হতো। দেশের বেশ কিছু উৎসাহী ব্যক্তি থাইল্যান্ড থেকে ড্রাগন ফলের চারা এনে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। এতে তারা সফল হয়। ২০১০ সালের দিকে এদেশে সর্বপ্রথম ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। ২০১৫ সাল থেকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে ড্রাগন ফলের চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ফলের চাষ হচ্ছে।

সূত্র বলছে- ডায়াবেটিস ও খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ড্রাগন। এতে প্রচুর আঁশ থাকায় হজম শক্তি বাড়াতে ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ক্যারোটিন থাকায় স্মৃতি শক্তি ও চোখের জ্যোতি বাড়ায়। ভিটামিন বি-২ থাকায় ক্ষুধা বাড়ায় ও স্বাভাবিক কর্মপন্থা উন্নত করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। এ ফলে বি সিটোস্টরেল থাকায় হাইপার টেনশন কমায়।

ত্বকের মসৃণতা ও আর্দ্রতা ধরে রাখে। ভিটামিন বি-৩ থাকায় শরীরের রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, খারাপ কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপ কমায়। রক্তের শিরা প্রশন্ত করে ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। এটি ভিয়েতনামের জাতীয় ফল ড্রাগন হলেও সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এই ফলের আবাদ শুরু হয়েছে। এছাড়া ড্রাগনের সাদা শাঁসের রস প্রসাধন গুণের আঁধার।

নবীগঞ্জের ববান ড্রাগন বাগানের ম্যানাজার বিনয় চন্দ্র ভর্মন জানান, বাগানের মালিক মশিউর রহমানের উদ্যোগে প্রায় ১ বছর আগে চা বাগানের ১ একর জমিতে শুরু করেন ড্রাগন চাষের কর্মপরিকল্পনা। প্রথমে সিমেন্ট দিয়ে প্রায় ৫০০ টি পিলার তৈরী করেন। পরে গর্ত করে ওই স্থানে পিলার গুলোকে দাঁড় করিয়ে ১টি পিলারের চারিপাশে চারটি করে ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। এ ভাবে প্রায় ২ হাজার চারা রোপণ করেন। এতে পরিচর্যাসহ সব মিলিয়ে ব্যয় হয় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। প্রথম মৌসুমেই দেড় লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করেছেন। এখন পরিচর্যা ছাড়া কোন ব্যয় নেই, শুধু আয়ের পালা। কোন ব্যয় ছাড়া সামনে আরো ৩ গুণ বেশি ফল বিক্রি করে টাকা আয়ের আশা করছেন বাগান কর্তৃপক্ষ।

নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল আলম জানান, রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম বিধায় ড্রাগন ফল চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। নবীগঞ্জ উপজেলায় বেশ কয়েকটি ড্রাগনের বাগান তৈরী হয়েছে। এই ড্রাগন বাগানগুলো দেখে কৃষকরা ফলটি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন প্রায়ই চারার জন্য যোগাযোগ করছেন। এই চারা রোপণ করলে সহজে মারা যায় না। কেউ বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসের পরার্মশ নিতে বলেন তিনি।

সম্প্রতি ববান বাগান পরির্দশনে আসেন কৃষি অধিদপ্তর, সিলেট কৃষি তথ্য সার্ভিস ও নবীগঞ্জ কৃষি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খাঁন বলেন, আমাদের দেশে ড্রাগন ফল সম্ভাবনাময় একটি ফল। ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ফলটিতে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন-সি আছে। ক্যান্সারসহ অনেক জটিল রোগের প্রতিরোধক হিসেবে ড্রাগন ফলটি কাজ করে। ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন- গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রাখবে ড্রাগন এবং অনেক কম শ্রমে বিদেশি ফলটি চাষ করা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় এই ফল চাষে ব্যায় কম আয় বেশি।

সংশ্লিষ্টদের মতে- শিক্ষিত বেকাররা চাকরির পেছনে না ছুটে বসতবাড়ির আশপাশে ড্রাগন ফল চাষ করে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত আয়ের পথ সুগম হবে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, যেসব জমিপূর্ণ সূর্যলোক পায়। বর্ষায় পানি উঠে না বা স্যাঁতস্যাঁতে থাকে না- এমন স্থানে ড্রাগন ফলের চাষ করা সহজ। বাগান করার মাত্র নয় মাসের মধ্যে গাছে ফল ধরতে শুরু করে। এক একটি ফলের ওজন ২০০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। তবে ৪/৫ বছরের একটির পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে এক কেজি পর্যন্ত ওজনের ড্রাগন ফল পাওয়া সম্ভব হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে বছরে ৮০ কেজি পর্যন্ত ফলন হতে পারে।
সৌজন্যেঃ আজকের সিলেট

]]>
https://prothomsheba.com/archives/7471/feed 0
পেরুর সঙ্গে ড্র করে বাদ পড়ার শঙ্কায় আর্জেন্টিনা https://prothomsheba.com/archives/71 https://prothomsheba.com/archives/71#respond Fri, 06 Oct 2017 08:58:48 +0000 http://themesbazar.com/newsfresh/?p=71 ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে পেরুর বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার।

কিন্তু ঘরের মাঠে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো মেসিদের। পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে ১৯৭০ সালের পর আবারও ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেল আর্জেন্টিনা।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/71/feed 0
প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী https://prothomsheba.com/archives/68 https://prothomsheba.com/archives/68#respond Fri, 06 Oct 2017 08:56:43 +0000 http://themesbazar.com/newsfresh/?p=68 স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই আসে না। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮) ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

]]>
https://prothomsheba.com/archives/68/feed 0