মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চুনারুঘাটে পেঁয়াজের বস্তায় মিললো ৫ কেজি গাঁজা: যুবক গ্রেপ্তার বোরকা পরিহিত নারীর বিশেষ স্থান থেকে গাঁজা উদ্ধার : গ্রেফতার ৪ মিরপুরে ভয়াবহ আগুন ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হত্যার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিত কুমার দাস সহ চুনারুঘাটের ৩ উপপরিদর্শক আর্থপিডিয়া কর্তৃক সিভি লেখা ও চাকুরির ইন্টারভিউ ওয়ার্কশপ” নামক কর্মশালা অনুষ্ঠিত আজ চুনারুঘাট ব্যারিস্টার সুমন এমপি’র তারণ্যের সমাবেশ ॥ মাধবপুরে খাল পরিস্কার শুরু করলেন ব্যারিস্টার সুমন এমপি হবিগঞ্জের ইতিহাসে আজ কলঙ্কের ২৭ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জে রেলের জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা

হাকাজুরা এলাকার আতঙ্কের আরেক নাম মিজান মেম্বার

নুর উদ্দিন সুমন, বার্তা সম্পাদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০
  • ৩৮০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : তিনি একজন ইউপি সদস্য। তবে জনপ্রতিনিধি হয়েও জনগণের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠেছেন তিনি। মিজান মেম্বার নামের রানিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের এই সদস্য সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের মাধ্যমে। চন্দু ও আক্তার নামে ওই যুবকদের মারধরের খবরটি ২৫ মার্চ বুধবার থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে মিজান মেম্বার। এঘটনায় মিজান মেম্বারের সহযোগী আব্দুল হক নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু আলোচিত মিজান অধরা। উপজেলার হাকাজুরা গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার পুত্র চন্দু মিয়া(৩৫) ও ফরিদ মিয়ার পুত্র আক্তার মিয়া (২৭) কে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মিজান মেম্বারসহ তার দলবল।


আহত দুই যুবক বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে মৃতুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আক্তার, চন্দু ছাড়াও মিজান মেম্বারের বিরুদ্ধে জুলুম নির্যাতন, দখলবাজি,বিভিন্ন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেম্বারের ভয়ে মিজানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয় না কেউ। স্থানীয় সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ চন্দু মিয়া গংরা কৃশি জমির জন্য পানি নিতে চাইলে মিজান ম্বোরের দলবল বাধা দেয় এর জের ধরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয় । পরে দুপুর দেড়টার দিকে হাকাজুড়া সুনাজুরা নামকস্থানে মেম্বার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক তার বাহিনী নিয়ে হাকাজুরা সোনাজুরা এলাকায় পরিকল্পিতভাবে পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল লোক কুপিয়ে রক্তাক্তজখম করে। তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদরকে উদ্ধার করে প্রথমে চুনারুঘাট হাসপাতাল পড়ে তাদের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ডাক্তার জানায়, একজনের বুকে পিকলের গাই ও অপর জনের মাতায় একাধিক রামদার ক্ষুপ রয়েছে। তাদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। ঘটনারদিন খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এসআই মলাই মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে এ ঘটনায় জড়িত মিজান মেম্বারের চাচাত ভাই মৃত সুন্দর আলীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল হক নামের একজনকে আটক করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনার স্থলে গিয়ে একজনকে আটক করেছে। আহত চন্দু মিয়ার ভাই কাজর মিয়া বাদী হয়ে মিজান ম্বোরকে প্রধান আসামী করে ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর। তবে অভিযুক্ত মিজান মেম্বার তাকে নির্দোষ দাবী করে বলেন জনগণ তাকে বেশি ভাল পায় বিধায় তারা ভয় পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com