হবিগঞ্জ সংবাদদাতা ॥হবিগঞ্জে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামীলীগের দায়েরকৃত ৪টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ। একই মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ৪৮ নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামীপক্ষে শোনানী করেন এডভোকেট খন্দকার মাহববুর হোসেন, এডভোকেট মাসুদ রানা, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলেন, এডভোকেট শামছুল ইসলাম ও এডভোকেট হারুনুর রশিদ। মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন হবিগঞ্জ শহরের জে কে এন্ড এইচকে হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগে ২২ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় গত ১ জানুয়ারী একটি মামলা করা হয়। মোহনপুর এলাকার মৃত রইছ উল্লার পুত্র ও আওয়ামীলীগ কর্মী আশরাফ আহমেদ হারুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও এই মামলায় আসামী করা হয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ৩০ নেতাকর্মীকে।
একই দিন শহরের যশেরআব্দা এলাকায় সওদাগর কৃষ্ণধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী কাজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বাঁধা প্রদান ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মৃত মঞ্জব আলীর পুত্র জুনাব আলী বাদী হয়ে সদর থানায় ২ জানুয়ারী আরও একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও এই মামলায় ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। শহরতলীর তেতৈয়া ভোট কেন্দ্রে গাড়ি ভাংচুর ও মারপিটসহ বিভিন্ন অভিযোগে তেতৈয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র সাবেক মেম্বার তৈয়ব আলী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়। এই মামলায় ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩শ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়।
শহরের স্টাফ কোয়াটার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও এই মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরও শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। এই ৪টি মামলায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছ, তার ছোট ভাই জি কে গাফফার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক হেলাল, জেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী মিন্টু, ইউপি মেম্বার ছামিউন বাছিত, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কুহিনুর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা লাভলি সুলতানা, পৌর মহিলাদলের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার রাখি, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অলিউর রহমান অলি, জেলা ছাত্রদল নেতা গোলাম মাহবুবু, দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক সায়েম ও সার্কোলেশন ম্যানেজার শাহজাহান মিয়াসহ ৪৮ নেতাকর্মী গতকাল রবিবার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
Leave a Reply