নিজস্ব প্রতিনিধি ঃহবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠছে প্রচারণা। ভোটের মাঠে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের ৯ প্রার্থী আছেন সম্ভাব্য তালিকায়। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ৫ জন। আর অন্যরা বিএনপি, জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের। আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান শামীম ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান চৌধুরী
বি.এন.পি’র সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা বি.এন.পি’র সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরী। এছাড়াও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও জেলা খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি প্রভাষক আব্দুল করিমও আছেন সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায়।
নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বলেন ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী আদর্শের সৈনিক হিসেবে রাজনীতির সাথে জড়িত। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোড়ালো অবস্থান নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করেছি। এছাড়াও আমার এলাকায় আমি পরপর দু’বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করাসহ জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি আশাকরি, এসব বিবেচনায় নিয়ে আগামী উপজেলা নির্বাচনে দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত’’।
এদিকে, বি.এ.পি’র সম্ভাব্য প্রার্থী এজাজ ঠাকুর চৌধুরী জানান, তার দল উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি অবশ্যই ধানের শীষের টিকিট চাইবেন। সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তিনি তার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
Leave a Reply