নুর উদ্দিন সুমন: জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা সংরক্ষিত বনাঞ্চল হুমকীর মুখে পড়েছে। কারণ এ বন থেকে চোররা সুযোগ সন্ধানে গাছ কেটে নিচ্ছে। এরফলে একদিকে যেমন বন উজাড় হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। তবে গাছ রক্ষায় হবিগঞ্জ বনবিভাগ সজাগ। তারপরও সুযোগ সন্ধানে বনের গাছ পাচার হচ্ছে। এদিকে চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণ নরপতি এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই সেগুন গোল কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। ১৬ আগস্ট শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এ অভিযানে অংশগ্রহণ করে কালেঙ্গা, শায়েস্তাগঞ্জ, রঘুনন্দন রেঞ্জ, চুনারুঘাট টহল বাহিনী ও থানা পুলিশ।
এ অভিযানে প্রায় ১৯১.৪৪ ঘনফুটের ৮৬ টুকরা গোল সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মুল্য ৬ লাখ টাকা হবে। চুনারুঘাট টহল বাহিনীর অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ নরপতির এক প্রভাবশালীর বাড়ির পুকুর থেকে বিপুল পরিমান সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়। কিন্তু উদ্ধারকারীরা এ তথ্য দিতে টালবাহানা করছেন। তারা বলেন, লিখে দেন দক্ষিণ নরপতি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ কাঠ উদ্ধার হয়েছে। স্থান বলা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে নাটক করা হচ্ছে। কাঠ উদ্ধার হলেও চোরাকারবারীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। এনিয়ে নানামুখী আলোচনার ঝড় বইছে। ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, চোরাই কাঠ উদ্ধারে বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালায়। থানা পুলিশ এ অভিযানে সহযোগীতা করেছে।শাহপুর বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে উদ্ধার হওয়া কাঠগুলো চুনারুঘাটের সংরক্ষিত দক্ষিণ বনাঞ্চলের। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তক্রমে বন আইনে মামলা হবে।