বাহুবল প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে পাকা রাস্তার কাজ সমাপ্তির এক সপ্তাহ মধ্যেই পাকা উঠে যাচ্ছে এজন্য এলাকাবাসী দায়ী করছেন এলজিইডি সার্ভেয়ার দুলালকে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার হাসপাতাল টু বাহুবল অনার্স কলেজে যাতায়াতের একমাত্র আঞ্চলিক রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় হাসপাতালে ও কলেজে যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল দূরদূরান্ত থেকে হাসপাতালে আগত রোগীরা।
এ রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় খুব সমস্যায় ছিল সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
হালকা বৃষ্টি হলেই রাস্তার মধ্য ভাগে পানি জমে সৃষ্টি হত কাঁদা,নর্দমা।
সুত্রে জানা যায়,
এলাকাবাসীর দাবীর মুখে রাস্তাটি ২৮ লক্ষ টাকার টেন্ডার দেয়া হয় এলজিইডি মন্ত্রনালয়।
রাস্তাটি ২১০ মিটার আর সিসি ঢালাই দিয়ে পূর্ণ নির্মাণের নিদের্শ দেয়া হয়।
লটারির মাধ্যমে কাজটি পান শাকিল চৌধুরী নামে একজন ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে থেমে থেমে চলতে থাকে রাস্তার কাজ।
গত সপ্তাহ রাস্তাটির ২১০ মিটারের মধ্যে ১৮০ মিটার করেই কাজ সম্পন্ন করা হলেও এক সপ্তাহ অতিবাহিত হবার পূর্বেই রাস্তার পিচডালা উঠে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিনের দাবী লাঘব হলেও আবার ও সেই লক্কত জক্কর রাস্তা হবে বাহুবলবাসীর নিত্য দিনের সংগী বলে মন্তব্য করে আসছেন সর্বসাধারন।
এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষগুলো জানান, শ্রমিকরা রাস্তার কাজ ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চালাচ্ছিলেন যেখানে ২১০ মিটার রাস্তা ঢালাই সম্পন্ন করার কথা সেখানে প্রায় ১৮০ মিটার ঢালাই দিয়ে সমাপ্তি দেয়া হয়। রাস্তার ঢালাই কাজে করা হয় অনিয়ম ও দুর্নীতি।
ঠিক মত বালু সিমেন্ট না দিয়েই সমাপ্তি করা হয় কাজ। আর রাস্তার বাকী কাজগুলো পাকা করণের জন্য বলা হলেও, সেই জায়গাতেও করা হয় অনিয়ম দুর্নীতি যেখানে ভাল করে বালু মেডিসিন ও ইটের কংক্রিট দেয়ার কথা সেখানে তড়িঘড়ি করে কাজ সমাপ্তি করা হয়। যার ফলে রাস্তার পিচডালা গুলো উঠে যাচ্ছে আর এর জন্য এলাকাবাসী দায়ী করছেন এলজিইডি সার্ভেয়ার দুলাল কে।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা এই অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম কিন্তু এলজিইডির সার্ভেয়ার দুলাল ঠিকাদারের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ শুরু করে দেয় তারা। স্থানীয়দের দাবী দুলাল ঠিকাদারের সাথে হাত মিলানোর কারণেই এই রাস্তায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ পেয়েছে ঠিকাদার।
Leave a Reply