নুর উদ্দিন সুমন : বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রভাব শুধু খাদ্য বা কর্মজীবনে নয় প্রতিটি ক্ষেত্রে পড়েছে। এই অবস্থায় নারীদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় অনেক কিশোরী ও মায়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বন্যায় পানিবন্দীর কারণে অনেকের হাতে টাকা থাকলেও বাইরে গিয়ে কিনতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে পণ্যটিও পাওয়াও যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে ইভোলিউশন৩৬০ এবং আর্থপিডিয়া গ্লোবালের নেতৃবৃন্দ। আর্থপিডিয়া গ্লোবাল এবং ইভোলিউশন৩৬০ স্কুল পর্যায়ে বিশেষভাবে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে। সিলেট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম চালু আছে। আর্থপিডিয়া গ্লোবাল এবং ইভোলিউশন৩৬০ প্রকল্পের সমন্বয়ক, সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই সহায়তা দিচ্ছেন কিন্তু এসব সহায়তায় প্রথমত খাবার, শিশুখাদ্য, ওষুধ গুরুত্ব পেয়েছে। এসব সহায়তা প্যাকেজেও স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। তিনি বলেন, পিরিয়ড নারীদের অতি স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা তাদের শারীরিক সুস্থতার সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত। কিন্তু আমাদের দেশে পিরিয়ড বা মাসিক ব্যাপারটা উপেক্ষিত। বিষয়টি এতই গোপনীয়তায় রাখা হয় যে পরিবারের একজন নারীর মাসিক হলে অন্য নারী সদস্যরাও টের পান না। পুরুষরা তো না-ই। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীই তাদের পরিবারের পুরুষদের অতিপ্রয়োজনীয় এই জিনিসগুলো কিনতে বলতে সংকোচ করে। অনেকে বলতে না পারার কারণে অস্বাস্থ্যকরভাবে পিরিয়ডের সময়টা অতিবাহিত করে। সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী বলেন, বাংলাদেশের মাত্র ১৫ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। স্যানিটারি ন্যাপকিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন, এমনকি ক্যান্সারে পর্যন্ত আক্রান্ত হন নারীরা। বিশেষ করে, বন্যায় পানিবন্দিতে অনেক নারীই স্যানিটারি ন্যাপকিন, হেয়ার রিমুভার, ওমেন রেজার ও প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না। এতে করে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়ছে। তিনি বলেন, এ কারণে আমরা ত্রানসামাগ্রীর পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ অন্যান্য নারীদের জরুরি আইটেমগুলো বাসায় পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কুরিগ্রামের বন্যাদুর্গত এলাকার নারীদের মাসিক ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫হাজার স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছে সংগঠনটি। এই সপ্তাহে আরও
নারীর মাঝে ফ্রি বিতরণের কার্যক্রম চালু আছে। তাদের প্রজেক্টের মাধ্যমে নারীরা এই সেবাটি পাবেন।
সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্করের পুত্র বধূ ও জেলা যুবলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিল্লুল কাদির লস্কর রিমন এর সহধর্মিণী। আর্থপিডিয়া গ্লোবাল সাথে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ব্যারিস্টার সুমন, সহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা। আমাদের প্রজেক্ট ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন এর মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় পৌছে যাবে মা বোনদের জন্য ন্যাপকিন। ব্যরিস্টার সুমন ভাইের সব থেকে বড় প্রজেক্ট এক সাথে ৫৭টি ট্রাক সিলেটের সব উপজেলায় পৌছে যাবে।
এই প্রজেক্টের অংশ হয়ে আর্থপিডিয়া গ্লোবালের ন্যাপকিনসগুলো পৌছে যাবে একই সাথে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল বয়সের নারীদের জন্য বর্তমান
জরায়ু সুস্থতা বিবেচনায় স্যানিটারি ন্যাপকিন একান্ত আবশ্যক। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নারীদের
মাঝে আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি যা আপনাদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে সফল হতে পারে। এক প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিনের বাজারমূল্য ৫০ টাকা মাত্র। আপনাদের সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য। সিলেট ও সুনামগঞ্জ বন্যা দুর্গতদের জন্য অনুদান পাঠানোর মাধ্যম: বিকাশ (ব্যক্তিগত
অ্যাকাউন্ট): +৮৮০১৭৯৫৬১১৮৪০ +৮৮০১৬২১৬৯৯৯৩৩ রকেট: ০১৬২১৬৯৯৯৩৩
Leave a Reply