করোনাভাইরাসের বর্তমান এই লকডাউন পরিস্থিতিতে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারসহ সকল কর্মকর্তাদের (মোট ১৭ জন) সুবিধার্থে চুনারুঘাটে নিজের ডুপ্লেক্স বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
নিজ পরিবারের সাথে পরামর্শ করে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে পাবলিক ভয়েসকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমএ মুমিন উদ্দিন চৌধুরীর কাছে প্রস্তাব আকারে ইতোমধ্যেই তিনি বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। যে কোন সময় ডাক্তাররা তাঁর বাসায় উঠতে পারবেন এবং করোনাভাইরাসের এই সময়টাতে তারা তার বাসায় থাকতে পারবেন।
বাসা ছেড়ে দিলে আপনি কোথায় থাকবেন জানতে চাইলে সুমন বলেন, আমি অন্যত্র নিজের থাকার ব্যবস্থা করবো। আমি চাই ডাক্তাররা এই সময়টাতে মানুষদেরকে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করুক এবং নিশ্চিন্তে মানুষের জন্য কাজ করুক। কেবল বাসা ছেড়ে দেওয়া নয়। ডাক্তারদের সুবিধার্থে আমার পক্ষে সম্ভব এমন যা করা লাগে করবো আমি।
প্রসঙ্গত : ব্যারিস্টার সুমন একদিকে তিনি একজন আইনজীবী অপরদিকে তিনি অনুসরণীয় একজন সমাজসেবক। নিজ উদ্যোগে সমাজসেবামূলক একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমনের উদ্যোগে মেডিকেল টিম, বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে চিকিৎসা
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন। মানুষের উপকার এবং করোনাভাইরাস ইস্যুতে এসে তার সমাজসেবামূলক কাজগুলো দৃষ্টি কেড়েছে সবার। মানুষ তাই প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট এই পরোপকারী মানুষটিকে।
এখনই সময় দেশপ্রেমিক হওয়ার : ব্যারিস্টার সুমন
করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময়টাতে তিনি বসে থাকেননি বরং নিজের সাধ্যমত ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাস দেড়েক আগেই করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন সবার আগে বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ব্যারিস্টার সুমনের সেই বার্তাটি দেখতে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশে গত ৮-ই মার্চ করোনাভাইরাস ধরা পরার পর সারাদেশে লকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এরপর থেকেই নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এমনকি প্রতিটি কাজ এবং সতর্কতা বিষয়ে তিনি ফেসবুকে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছেন এবং মানুষকে যথাসম্ভব সতর্ক করার চেষ্টা করছেন।
করোনা সংকটে হাসপাতালে নিজের গাড়ী দিলেন ব্যারিস্টার সুমন
তাঁর নিজ এলাকা থেকে শুরু করে দেশের যে কোন সমস্যা বিষয়ে তিনি মানুষকে সচেতন করেছেন। দিয়েছেন পরামর্শ। নিজের বেতন থেকেও তিনি মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এর মধ্যেই তাঁর নিজের ব্যক্তিগত গাড়িটি দিয়েছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা হাসপাতালে। পরবর্তীতে নিজ উদ্যোগে গঠন করেছেন মেডিকেল টিম। ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে।
কিস্তি নয়, মানুষকে চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করুন: ব্যারিস্টার সুমন
এখানেই শেষ নয় প্রতিটি বিষয়ে তিনি মানুষকে জানিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে। ব্যারিস্টার সুমনের কথাগুলো পৌঁছে যাচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন সংখ্যার মানুষের কাছে। যা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুমন ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন।
Leave a Reply