নিজস্ব প্রতিনিধ॥ চুনারুঘাটের রঘুনন্দন পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবতী সুমা রানী সরকার (২৫) এর লাশ দাফন করার ১০ দিন পর সনাক্ত করে বশেষে দাহ করা হয়েছে। পত্রিকায় দেখে তারা ওই লাশের সনাক্ত করেন। বিষয়টি মামলার প্রেক্ষিতে আদালত সমাধান করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি রঘুনন্দন পাহাড় থেকে সুমা রানী সরকারের লাশ চুনারুঘাট থানার পুলিশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। লাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।। ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে রাজনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সূত্র জানায়, স্থানীয় পত্রিকায় ৮ জানুয়ারি নিহত সুমার মা সন্ধ্যা রানী সরকার তার মেয়ের ছবি ও পড়নের কাপড় দেখে সনাক্ত করে চুনারুঘাট থানায় যান। পুলিশ জানায়, তার মেয়েকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং বলেন সনাতন ধর্মের মেয়েকে কি করে দাফন করা হয়। এ সময় তিনি মেয়ের লাশ দাহ করার দাবি জানান। কিন্তু আদালতের অনুমতি ছাড়া লাশ কবর থেকে তোলার কোন নিয়ম নেই। পরে ১০ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসন্দা গ্রামের নিরঞ্জন সরকারের স্ত্রী নিহত সুমার মা সন্ধ্যা রানী সরকার আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত ধর্মীয় মতে লাশ তুলে সৎকার করার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে চুনারুঘাট থানার পুলিশ গত সোমবার বিকালে রাজনগর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে। পরে লাশটি পৌরশ্মশানঘাটে ধর্মীয় রীতি অনুসারে দাহ করা হয়।
অন্যদিকে, নিহত সুমার মা বাদী হয়ে মেয়েকে খুনের অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গভীরভাবে তদন্ত করছে পুলিশ।
Leave a Reply