শাহ মোহাম্মদ দুলাল আহমেদ,বাহুবল প্রতিনিধিঃ
সংস্কারের অভাবে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বাহুবল টু সোয়াইয়া রাস্তা বেঁহালদশায় পরিনত।
এতে প্রায় দেড় লক্ষ জনসাধারনের দূর্ভোগ চরমে।
উপজেলার এল,জি,ই,ডি’র অন্তর্ভুক্ত সবকটি রাস্তার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও দীর্ঘ সড়ক হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত বাহুবল টু সোয়াইয়া রাস্তা।
উক্ত রাস্তায় প্রতিদিন কিন্ডারগার্টেন,স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটি,এবং মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করছে।
রাস্তাটি চলচলের অনুপযোগী হওয়ায় সময় মত গাড়ি পাওয়া যায় না।ছাত্রছাত্রীরা গাড়ি পেলেও গন্তব্যে যেতে বাড়তি সময় লাগে।
প্রতিদিন সময়মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে না পারায় ছাত্রছাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
মিরপুর কলেজের ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃবিল্লাল জানায়,রাস্তা অতিরিক্ত ভাংগা,তাই সিএনজি গাড়ির ড্রাইভার এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক না।প্রয়োজনীয় গাড়ি না থাকায় আমরা ছাত্রছাত্রী সময়মত ক্লাস করতে পারি না। এ রাস্তা প্রসস্থসহ দ্রুত সংস্কার না হলে আমাদের মত ছাত্রছাত্রীদের জীবনে অনেক ক্ষতি হবে।
সে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহেলিত রাস্তার কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্যে জোর দাবি জানিয়েছে।
সরজমিনে রাস্তা ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার মধ্যে জনবহুল রাস্তা হলেও,রাস্তাতে নেই প্রয়োজনীয় প্রসস্থ!নেই মাইলফলক! নেই রাস্তার জমে থাকা পানি নিস্কাশনের কোন স্থায়ী ব্যবস্থা!দেখে বুজা যায় এটি সরকারি রাস্তা নয়!কাঁদা নর্দমায় ভরপুর বহুল ব্যবহৃত প্রায় দেড় লক্ষ লোকের এই সড়কটি।এ রাস্তায় প্রতিদিন তিন শত সিএন জি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করলে প্রয়োজন ক্ষেত্র গাড়ির সংকট লেগেই থাকে। এছাড়া এ রাস্তার সিএনজি ছাড়া ও প্রতিদিন নসিমন,পিকআপ,ডায়না,ভারী থেকে অতি ভারি গাড়ি মালামাল বহন করছে।
স্থানীয় এক পদচারীর জানান,বিশেষ করে ডায়না গাড়ি অতিরিক্ত লোড বহন করে,এর ফলেই রাস্তার দু পাশ নেমে যায়।
যখনি নামতে শুরু করে,ঠিক তখন থেকেই রাস্তা ভাংগা শুরু হয়। রাস্তায় বহু আগ থেকেই নির্মান করা লোড ব্রেকার একটি গেইট ছিল। কে বা কারা এই লোড ব্রেকারটি ভেংগে দিয়ে দেয়।এরই সুবাদে এখন এই সড়কে কোন বিধিনিষেধ কে তোয়াক্কা না করেই মাত্রারিক্ত লোড গাড়ি প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।এতে হুমকির মুখে পরছে হাজার হাজার জনতার যাতায়াতের একমাত্র সড়ক বাহুবল হইলতে সোয়াইয়া রাস্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায়,স্থানীয় সিএনজি চালকরা কয়েকদফায় ঝুকিপূর্ণ স্থানে ইট,পাথর,বালি দিয়ে ভরাট করে।
এভাবে বছরের পর বছর যায়,কিন্তু সরকারের নজরের বাহিরে থেকেই থাকে অবহেলিত উন্নয়নমুখী সে কর্মকাণ্ড। তবে কেন? আজ অবহেলার কুড়ে ঘর থেকে কি সাধারণ জনগন মুক্তি পাবে না?না সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে বঞ্চিতই থেকে বাহুবল এবংসোয়াইয়া রাস্তার প্রায় দেড় লক্ষ জনগন।
বাহুবল হইতে বক্তারপুর গ্রাম পর্যন্তই রাস্তাটি শেষ প্রান্ত।প্রায় দশ কিঃমিঃ রাস্তা হলেও প্রায় তিন কিঃমিঃ রাস্তা শুধু সংস্কারের অভাবে ব্যবহারে দুষ্কর হয়ে পরেছে।
এছাড়া রাস্তার দু পাশে নতুন বসতঘর বানিয়ে, পথচারী হাঁটার জায়গা দখলের ভিতরে নেয়া হয়েছে।পথচারী হাঁটার জায়গা না থাকায় প্রায়ই দূর্ঘটনার কবলে পরতে হচ্ছে সাধারন পদচারিরা।
এতে করে ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেছে।
স্থানীয় আরও একজন পথচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়,শুধু লক্করজক্কর পিচঢালা ছাড়া আমাদের হাঁটার মত কোন জায়গা নেই।কারন রাস্তার দু সাইড বাড়ি বানিয়ে দখলে নিয়ে গেছে তাই।
তিনি জানান, আমরা গাড়ি চলচলের জায়গা ব্যবহার করে পথ চলি।ফলেই আমাদের মাঝে ঘটে প্রতিনিয়ত মারাত্মক দুর্ঘটনা।
দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে অর্থ থাকার পরে ও কেন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত বাহুবল?কেন বঞ্চিত বাহুবল উপজেলার
সর্বস্থরের জনগন?এই প্রশ্নে বিভোর বাহুবলের জনসাধারণ! রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার,প্রসস্থ করন,রাস্তার পানি নিস্কাসনের সহ একটি সম্প্রসারিত মডেল রাস্তার দাবী জানিয়েছেন সমাজের সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
Leave a Reply