নুর উদ্দিন সুমন ॥ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বর ওলিপুর চুনারুঘাটের মিরপুর রাস্তার অংশে মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে তোলা আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার ৫ ফেব্রয়ারী সকাল ১০টায় হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসান খাণ এর উপস্থিথিতে এসব দোকানপাট ও মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়। এতে প্রায় ৫কোটিরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জনানান। এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জুত্যিষ গোষামী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম আহমদ ছিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার আবুল খায়ের। সকাল ১০টায় থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত, উচ্ছেদ অভিযান চলে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ১২ বছর আগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উঁচু ও প্রশস্ত করার সময় রাস্তার পাশে সওজের জায়গায় কৌশলে দখলে নিয়ে নেয় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। তারা সেখানে গড়ে তোলে অর্ধশতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা দোকানঘর। মাসিক দোকানপ্রতি ১হাজার থেকে ২ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হতো ৷ সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসডকের পশ্চিম ও উত্তর পাশে সওজের জায়গায় ৩৫ থেকে ৪০টি অবৈধ দোকান বসিয়ে একই কায়দায় চাঁদা আদায় করত অপর একটি চক্র। এছাড়াও ওলিপুর একই কায়দায় দোকপাট করে বড় অংঙ্কের ভাড়া আদায় করা হতো ফলে অটোরিকশা দাঁড কড়িয়ে থাকত মহাসডকের ওপর এতে করে সড়কে যানজট সৃষ্টি হতো। সন্ধ্যায় অবৈধ দোকানগুলোতে বসেই লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করে ছিনতাইকারীসহ অপরাধীরা সক্রিয় ছিল। অবশেষে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান হয়। অভিযানে অংশগ্রহণ করেন চুনারুঘাট থানা ও মাধবপুর থানার একদল পুলিশ। দীর্ঘ সময়ের অভিযানে তাঁরা গোলচত্বরের আশপাশের সব অবৈধ স্থাপনা গুঁডড়িয়ে দিয়েছেন। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীরা আহাজারী করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন তাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, সরকারি জায়গার দোকানপাট সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কেউ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ প্রকৌশলী জ্যুতিষ গোষামী জানান, মানুষের চলাচল ব্যহত হওয়ায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বারবার তাগিদ করা হয়। মহাসড়কের পাশে গড়ে তোলা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা সড়ক বিভাগের। আমরা জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে উচ্ছেদ করেছি যথা ক্রমে আমাদের অভিযান চলবে।
Leave a Reply