নুর উদ্দিন সুমন : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মদনমোড়ক গ্রামের আইয়ূব
হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনোয়ারপুর এলাকার মো.
হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩২), বহুলা গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত (১২), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে আশিকুর রহমান সুজন (২৪) ও উলুকান্দি গ্রামের ফটিক তালুকদারের ছেলে রুবেল তালুকদার(২২), আহম্মদাবাদ গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৬২)
বানিয়াচং উপজেলা শহরের বড়বাজারের বাসিন্দা সোহেল মিয়ার কন্যা আদিবা আক্তার
সোহা(২)। দুর্ঘটনায় আহত নিহত আদিবার পিতা সোহেল মিয়া, মা নাজমা আক্তার, ভাই নাফিজকে ঢাকায় প্রেরণকরা হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় নিহত রুবেলের বন্ধু মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও সুমন, নাসিম, ফারুককে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি বাকী আহতরা হলেন, নবীগঞ্জের লোকমান(২২), আফছা(১৪), আছমা(২৪), তাহুল(১), হবিগঞ্জ সদরের মোখলেছ(৪৩), ধলাই মিয়া(৬৫), রাকিব(২৮), আবুল কালাম(৫২), রায়হান(২০), চুনারুঘাটের রাজন(২৮), জনি(২৪), বানিয়াচংয়ের মীম(৭)। তারা সবাই টিকেট কেটে ১১ নভেম্বর দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনে উঠে গন্তব্যে রওনা দেয়। ভোর রাতে কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তারা নিহত ও আহত হয়। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন সূত্র জানায়, জংশন থেকে শতাধিক যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামী উদয়নে ট্রেনে উঠেন। পথিমধ্যে কসবায় গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: কামরুল হাসান জানান নিহতর প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply