শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চুনারুঘাটে পেঁয়াজের বস্তায় মিললো ৫ কেজি গাঁজা: যুবক গ্রেপ্তার বোরকা পরিহিত নারীর বিশেষ স্থান থেকে গাঁজা উদ্ধার : গ্রেফতার ৪ মিরপুরে ভয়াবহ আগুন ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হত্যার ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিত কুমার দাস সহ চুনারুঘাটের ৩ উপপরিদর্শক আর্থপিডিয়া কর্তৃক সিভি লেখা ও চাকুরির ইন্টারভিউ ওয়ার্কশপ” নামক কর্মশালা অনুষ্ঠিত আজ চুনারুঘাট ব্যারিস্টার সুমন এমপি’র তারণ্যের সমাবেশ ॥ মাধবপুরে খাল পরিস্কার শুরু করলেন ব্যারিস্টার সুমন এমপি হবিগঞ্জের ইতিহাসে আজ কলঙ্কের ২৭ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জে রেলের জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা

হবিগঞ্জে চার দশক মামলা চালিয়ে ক্লান্ত বৃদ্ধ অসহায় কদর আলীর

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১
  • ৩০৯ বার পঠিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: বৃদ্ধ অসহায় কদর আলীর জমিজমা বলতে ছিল ১৯ শতক জমি। এরমধ্যে ৬ শতকে বসতভিটা ও এর পাশেই ১৩ শতকের ফসলি জমি ছিল। ফসলি ১৩ শতক থেকে আবার ৩ শতক জমি কৌশলে লিখে নিয়েছে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালী লোক। তাতেও এ প্রভাবশালী থেমে থাকেননি। বাকী ১০ শতক জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ জমি নিয়ে একের পর এক মামলা হয়। তারমধ্যে কদর আলী সুবিচারের আশায় ৫টি মামলা করেন। অপরদিকে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কদর আলীর উপর ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। উভয় মিলে দায়ের করা ১১ মামলা এখন পর্যন্ত সুরাহা হয়নি। তিনি জানান, প্রতিবেশী নানু ও ভাতিজা সেলিমসহ তার দলবল নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছে। তাদের হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তারা প্রায় সময় বাড়ি ঘরে হামলা করে আসছে। কোনদিন জানি মরে যাই জানিনা মৃত্যুর আগে সঠিক বিচার হবে কিনা জানিনা। মৃত্যুর আগে সঠিক বিচার দেখে মরতে চাই। প্রায় ৪০ বছর ধরে বিরোধ। কদর আলীকে মাসে ৫ থেকে ৭ বার আদালতে গিয়ে মামলা চালাতে হচ্ছে। এতে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়। এতো টাকা খরচ করে মামলা পরিচালনা করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে পরিবারের ভরণপোষণ করতে হচ্ছে। বয়সেরভারে তিনি নুহ্য হয়ে পড়েছেন। এখানে তিনি আগের ন্যায় আয় রোজগার করতে পারছেন না। বর্তমানে সন্তানদের আয়ের উপর নির্ভর করে পরিবার নিয়ে কোন উপায়ে চলছেন। হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার পশ্চিম বামৈ গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে অসহায় কদর আলী (৮০) একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানালেন। তিনি বলেন, অভাবের সংসারে ৯ মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন অনেকের সাহায্য সহায়তায়। তিন ছেলে মধ্যে এক ছেলে মামলার খরচ দিতে গিয়ে রাগ করে অন্যত্র বসবাস করছে। বর্তমানে এক ছেলে আয় রোজগারে চলতে হচ্ছে। এদিকে পরিবারের ভরণপোষণ ও অপরদিকে মামলা পরিচালনা করা নিয়ে কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না অসহায় কদর আলী। এমতাবস্থায় মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার মাধ্যমে আইনের কাছে সুবিচার প্রার্থী ও পরিবার নিয়ে চলার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগীতা কামনা করেছেন অসহায় কদর আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com